ওয়েব ডেস্ক: ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় (Indrani Mukherjee) দেউলিয়া। ছেলেরা তাঁর গয়নাগাটি এবং সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। শিনা বোরা (Shina Vohra) মামলায় দাবি ইন্দ্রাণীর মেয়ের। শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের শুনানিতে নাটকীয় পট পরিবর্তন। ইন্দ্রাণী এবং সঞ্জীব খান্নার কন্যা বিধি মুখোপাধ্যায়ের (Bodhi Mukherjee) অভিযোগ, তাঁর মা-র যাবতীয় আর্থিক সম্পদ আত্মসাৎ করে নেওয়া হয়েছে। পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাহুল এবং রবিন ইন্দ্রাণীর পারিবারিক গয়নাগাটি এবং সাত কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।
বিশেষ সিবিআই বিচারক (CBI Judge) জেপি দারেকরের সামনে দেওয়া জবানবন্দিতে বিধির দাবি, ২০১৫ সালে মা গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই তাঁর যাবতীয় সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া হয়। রাহুল এবং রবিন নিজেদের নামে লকার নিয়ে আত্মসাৎ করা গয়না রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ইন্দ্রাণী আর্থিক দিক থেকে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ায় আইনি লড়াই লড়তে অক্ষম। অন্যদিকে ওই ছেলেরা চান, তিনি কারান্তরালেই থাকুন, কারণ ইন্দ্রাণী বাইরে এলে ওই সম্পদ তাঁদের ফেরাতে হবে।
আরও পড়ুন: খুনের ৮ বছর পরেও বিচার পেলেন না সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ!
ইন্দ্রাণী গ্রেফতার হওয়ার পরের পরিস্থিতি বিধি এদিন আদালতের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, পিটার মুখার্জির আত্মীয়রা ইন্দ্রাণীর যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য লড়াই শুরু করে। এমনকী ইন্দ্রাণীর পারফিউম হ্যান্ডব্যাগগুলিও নিয়ে যাওয়া হয়। মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের পাশে থাকার জন্য রবিন তাঁকেও রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। না হলে তাঁকে পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে জানান বিধি। বিধির দাবি, সেই সময় রাহুল ছিলেন কর্মহীন, রবিন আর্থিক সংকটে ছিলেন। টিকে থাকার জন্য তাঁদের অর্থের প্রয়োজন ছিল। আর সেই কারণেই ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে তাঁরা মিথ্যা খুনের অভিযোগ সাজান বলেও তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, চব্বিশ বছরের শিনা বোরা ২০১২ সালের এপ্রিলে খুন হন। মৃতের দেহ পুড়িয়ে রায়গড় জেলার একটি বসতিহীন এলাকায় ফেলা হয়। ২০১৫ সালে ইন্দ্রাণীর গাড়িচালক স্বয়ম্বর রাই এই অপরাধের ঘটনা সামনে আনে। বর্তমানে এই গাড়িচালক রাজসাক্ষী। অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হওয়া স্বয়ম্বর জেরার মুখে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ফাঁস করলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
দেখুন অন্য খবর: